বিজুলী আলোক
যায় সেই আরো এই একটি নতুন পৃথিবীর মায়া
গায়ে পায়ে নিয়নের আলো পড়ে মনে পড়ে যাপন
মনে করে নেয় দেয় মায়ামেঘ ধুলিমাখা উঠোন
লাল এক দীর্ঘ চিন্তা উড়ে যায় সেই- আকাশ
কালোজামা পড়া বণিকের ফার্ম হাউজের চাপ
নিলাম হয় মানুষের ভিতরের মানুষ আর চিন্তা
একজোড়া ডায়নোসর বাবার পিঠে উঠে উঠুক
জল তৃষ্ণায় ক্লান্তিতে বেঁচে থাক- থাকুক মুখ
দিন মাস বছর কতো কথা বেঁচে থাকে তাহলে
এখন প্রমিথিউস তীব্র প্রতিবাদ হয় মানুষ হোক
বটবৃক্ষকে সামনে রেখে এগুতে পারি ঠিক ঠিক
ফানুস উৎসব থেকে বলছি
শাদা কালো ফ্রেমে আমরা পাতাদের গান করি
দেখি শৈশবের দৈত্যদের বেভুল অসতর্ক প্রেম
দেখছি তুই তুমি আপনি সময় সতর্কে কৌশল
ভাবছি পাখাঝাপটায় সম্পর্ক কতোটা অসহায়
দেখছি সোনালী ফুল রোদ বৃষ্টি হচ্ছে অনবরত
দেখি শরীরের আড়মোড়া ভাঙন গতিবিধি স্বর
শুনছি হাওয়াদের কামছলা অতীত কথার গল্পে
অতঃপর তাহারা সুখে-শান্তিতে
সহবাস বসবাস চাষবাস করছেন
প্রাগৈতিহাসিক সময় ধরে
এখন
দেখি এইসব মৃত ফানুস উৎসব অনুষ্ঠান
সোশ্যাল ওয়ার্ক
রাত আর কতোই মমতা দেয় জড়িয়ে নেয় ঘুম
তবুও খুব করে ভালোবাসি তোকে- ভালোবাসি
স্তনের কুঁড়ি ফুটি ফুটি একটা ঘোর চুষে খাই
মায়ায় তোর কোমল ঠোঁটের স্মিত হাসি দেখি
গায়ে জড়িয়ে নেই গোলাপের সুগন্ধি কোলাহল
তুমিও খুব দেখো শরীরের আড়মোড়া মাতলামি
বিছানার চাদর বালিশও বুঝে নেয় যুগল চাহিদা
আহত ব্লাউজ ফেটে পড়ে বেড়িয়ে আসে ভোর
ডাষ্টবিনে পা বাড়ায় সোস্যাল ডেমোক্র্যাট ট্রেড
এখন
উঠো সোনা অনেক সকাল হলো অফিসে যাও
ভালো থেকো চুমু আসো ধরো বাজারের লিস্ট
পরে কথা হবে
ফিরে আসো নীড়ে একটু ভালোবাসো- বাসো
বসো তমাল গাছের ছায়ায় বা ধানের নাড়ায়
দেখো মাটিতে জমে থাকা ঘাসেদের প্রেম দুধ
পোয়াতি ভোর কেটেকুটে দুধেভাতের সকাল
সকাল তুই ও বড্ড অলস বারান্দায় বসে থাক
আমি বরং একটু দুপুর হয়ে আসি
পরে কথা হবে প্লিজ
বাঙালি নদী
তোর মায়ায় জড়িয়ে জাতি-বর্ণ চিহ্নিত প্রেম
আমার আজন্মকাল
মায়াময় তোর দেহে উঠে আসে
পশ্চিমাঞ্চলের স্রোত ও সময়…
আহ্ কি মায়ায় এই শহরের অসংখ্য জীবন
উঁকি মারে ঢেউ খেলে জরায়ুর খুব গহিনে
তবু এমন সব জলের কথোপকথন
নামমাত্র মুল্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে
বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তার অতীত…
আর
ভুলবাল ঠকঠক করে কাটাই সময় সরকার
এখন বাঙালি নদী আমায় নিয়ে চলো
তোমার জলে কিংবা ডাঙায় বর্তমানে
যেখানে মৃত কোন গল্পের নায়ক নেই
আছে জেলে আর তাঁতিদের গভীর প্রেম
আর বুননকৌশল আবিষ্কার ইতিহাস…