বৃষ্টিভেজা মিষ্টি ছড়া
বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিলো
মিষ্টি ছড়ার বই,
‘ইষ্টি মিষ্টি বিশটি ছড়া’
কই গেলো রে কই?
জলের তলে কাঁদছে ছড়া
ঠান্ডাতে হয় জ্বর,
কোথায় পাবো ওষুধ-বড়ি?
গা কাঁপে থত্থর।
বদ্দি এলো ওষুধ নিয়ে
বয়সটা তার পাঁচ,
যেই না দিলো ইনজেকশন
ছড়ার সে কী নাচ!
বৃষ্টিভেজা বিশটি ছড়া
শিস দিয়ে গায় গান,
পাঁচ বছরের বদ্দিসোনা
উঁচিয়ে রাখে কান।
বইয়ের পোকা
ভাস্তে নাকি বইয়ের পোকা
কিন্তু সে বই কাটে না,
নানান বইয়ে ঘর ভরেছে
আলমারি র্যাক আঁটে না।
চাদ্দিকেতে বইয়ে ঠাসা
শোবার ঘরে বই রাখা,
কাক্কু বলেন, ‘চাকুম-চুকুম
কাব্য-ছড়া ধইরা খা।’
ভাস্তে বলে, ‘এই কি কথা!
কাক্কু তুমি কইলা কী?
বোঝো না ছাই কাব্য-ছড়া
বড্ড তুমি আনলাকি।
বইয়ের পোকা বলেই আমি
কাব্য ছড়া যাই লিখে,
ভাবছো তুমি হয় না কিছু
ভাতিজা যায় ছাই লিখে।
কিন্তু আমি পণ করেছি
হবোই কবি ঠিকঠিকই,
দেখবে সেদিন দেয়াল জুড়ে
সত্য ক’বে টিকটিকি।’
এসব শুনে কাক্কু বলেন,
‘ও কবিধন ভাস্তে রে,
অনেক বড় হোস বাছাধন
আস্তে বাবা আস্তে রে ।
তার আগে তুই বীজগণিতের
সূত্রটা বল তাত্তাড়ি,
তাই না শুনে ভাস্তে কবি
গুটায় আপন পাততাড়ি।