তিতলি হাঁটছে। কোন দিকেই সে তাকাচ্ছে না। রাস্তার শেষ মাথায় কাঠের পুল। তিতলি কাঠের পুলে উঠল। বুড়ো মানুষের দাঁতের মতো পুলটা নড়ছে। কাঠের পুল পেরিয়ে বনের শুরু। তিতলি বনে ঢুকে পড়ল। ভারী অভিমান হয়েছে তিতলির। মা বকা দিয়েছে। একটা তেলের শিশি ভেঙে ফেলেছে তিতলি। তাই মা বকা দিয়েছে। তিতলি কী ইচ্ছে করে ভেঙেছে? খেলতে গিয়ে পড়ে গেছে। তাই মা অনেক বকা দিয়েছে।
অলংকরণ: সুমাইয়া, ষষ্ঠ শ্রেণী, বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুল, চট্টগ্রাম
বনের মাঝখান দিয়ে সরু রাস্তা। লালমাটির। দু‘পাশে বড় বড় গাছ আর ঝোঁপঝাড়। ঝোঁপের মধ্যে অনেক বুনো ফুল ফুটে আছে। একটা বেগুনি রঙের ফুল দেখে খানিক দাঁড়াল তিতলি। অনেক সুন্দর ফুলটা! বনে অনেক পাখি। কিচিরমিচির ডাকছে। ‘ইশ্, যদি পাখি হতে পারতাম..তবে কতই না মজা হতো! যেখানে খুশি উড়ে চলে যাওয়া যেত।’ তিতলি ভাবল। একটু পরেই দুটি খরগোশ লাফ দিয়ে ঝোঁপ থেকে বের হলো।
তিতলি বলল, ‘তোমরা কেগো?’ খরগোশ দুটি হাসল, ‘ওমা, তুমি আমাদের চেনো না বুঝি! বইয়ে আমাদের ছবি দেখোনি। আমরা হলাম খরগোশ’। তিতলি বলল, ‘হ্যাঁ, চিনেছি। তোমাদের ছবি বইয়ে দেখেছি’। ‘তুমি বনে এসেছ কেন?’ খরগোশ জানতে চাইল। তিতলি বলল, ‘আমার ভাল লাগছিল না তাই চলে এসেছি। তোমাদের সাথে খেলব।’
খরগোশ বলল, ‘নিশ্চয়ই, অনেক মজা হবে।’ তিতলি আরো সামনে পা বাড়ালো। এবার বন থেকে দৌড়ে এক হরিণ ছানা রাস্তায় এসে পড়ল। তিতলিকে দেখে লজ্জা পেল মনে হল।
হরিণ ছানা বলল, ‘তুমি কেগো?’ তিতলি বলল, ‘আমি তিতলি।’ ‘তুমি কি করছ?’-হরিণ ছানা আবার জিজ্ঞাসা করল। ‘আমি বনে ঘুরতে এসেছি। কিন্তু তুমি কি করছ?’ তিতলি জিজ্ঞাসা করল। ‘আরে! আমরা লুকোচুরি খেলছি। লুকোতে গিয়ে তোমার সামনে পড়লাম’–হরিণ ছানা হাসতে হাসতে বলল। খরগোশ ছানা বলল, ‘চল, আমরা একসাথে খেলি।’
তিতলি বলল, ‘আমিও খেলবো।’ তিতলি, খরগোশ আর হরিণছানা তিনজন খেলতে শুরু করল। তা দেখে বনমোরগ, বুনো হাঁস. সজারু, বাদামি কাঠবিড়ালি, ভাল্লুক ছানা, শেয়াল ছানা, সাদা সারস আরো অনেকে খেলতে চলে আলো। এত্ত খেলার সাথী! তিতলি খুশিতে আটখানা। বাসায় তিতলিকে একাই খেলতে হয়। বাবা চলে যায় অফিসে। আর মা ব্যস্ত রান্নায়। তিতলির সাথে খেলবে কে? কিন্তু এখানে তিতলির অনেক বন্ধু। মনের আনন্দে খেলছে তিতলি। হরিণ ছানা লাফাচ্ছে। মযূর পেখম তুলে নাচ দেখাচ্ছে। কি সুন্দর ময়ূরের নাচ! এরপর সবাই মিলে গান গাইল, নাচল, ঝোঁপের ভেতর লুকোচুরি খেলল। অনেক আনন্দ হলো।
বিকেল হয়ে এল। ‘তিতলি, তিতলি’, দুর থেকে মা ডাকছে। শুনতে পেল তিতলি। হরিণছানা বলল, ‘যাও তিতলি, তোমার মা তোমাকে ডাকছে। চল, তোমাকে বনের বাইরে দিয়ে আসি।’ সবাই তিতলিকে বিদায় জানালো। বলল, ‘আবার সময় পেলে বনে যেন বেড়াতে আসে। তখন আরো মজা করে খেলা যাবে।’ তিতলির মা দেখল তার মেয়ে বন থেকে বের হয়ে এলো। পেছনে একটা হরিণ ছানা। তিতলির মা তো অবাক। কাছে আসতেই বলল, ‘পেছনে একটা হরিণ ছানাকে দেখলাম!’ তিতলি হেসে বলল, ‘মা, ওরা তো আমার বন্ধু। অনেক ভাল বন্ধু।’ তিতলির মা অবাক হয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
তিতলির বন্ধুরা/ইউনুস আহমেদ
তিতলি হাঁটছে। কোন দিকেই সে তাকাচ্ছে না। রাস্তার শেষ মাথায় কাঠের পুল। তিতলি কাঠের পুলে উঠল। বুড়ো মানুষের দাঁতের মতো পুলটা নড়ছে। কাঠের পুল পেরিয়ে বনের শুরু। তিতলি বনে ঢুকে পড়ল। ভারী অভিমান হয়েছে তিতলির। মা বকা দিয়েছে। একটা তেলের শিশি ভেঙে ফেলেছে তিতলি। তাই মা বকা দিয়েছে। তিতলি কী ইচ্ছে করে ভেঙেছে? খেলতে গিয়ে পড়ে গেছে। তাই মা অনেক বকা দিয়েছে।
বনের মাঝখান দিয়ে সরু রাস্তা। লালমাটির। দু‘পাশে বড় বড় গাছ আর ঝোঁপঝাড়। ঝোঁপের মধ্যে অনেক বুনো ফুল ফুটে আছে। একটা বেগুনি রঙের ফুল দেখে খানিক দাঁড়াল তিতলি। অনেক সুন্দর ফুলটা! বনে অনেক পাখি। কিচিরমিচির ডাকছে। ‘ইশ্, যদি পাখি হতে পারতাম..তবে কতই না মজা হতো! যেখানে খুশি উড়ে চলে যাওয়া যেত।’ তিতলি ভাবল। একটু পরেই দুটি খরগোশ লাফ দিয়ে ঝোঁপ থেকে বের হলো।
তিতলি বলল, ‘তোমরা কেগো?’ খরগোশ দুটি হাসল, ‘ওমা, তুমি আমাদের চেনো না বুঝি! বইয়ে আমাদের ছবি দেখোনি। আমরা হলাম খরগোশ’। তিতলি বলল, ‘হ্যাঁ, চিনেছি। তোমাদের ছবি বইয়ে দেখেছি’। ‘তুমি বনে এসেছ কেন?’ খরগোশ জানতে চাইল। তিতলি বলল, ‘আমার ভাল লাগছিল না তাই চলে এসেছি। তোমাদের সাথে খেলব।’
খরগোশ বলল, ‘নিশ্চয়ই, অনেক মজা হবে।’ তিতলি আরো সামনে পা বাড়ালো। এবার বন থেকে দৌড়ে এক হরিণ ছানা রাস্তায় এসে পড়ল। তিতলিকে দেখে লজ্জা পেল মনে হল।
হরিণ ছানা বলল, ‘তুমি কেগো?’ তিতলি বলল, ‘আমি তিতলি।’ ‘তুমি কি করছ?’-হরিণ ছানা আবার জিজ্ঞাসা করল। ‘আমি বনে ঘুরতে এসেছি। কিন্তু তুমি কি করছ?’ তিতলি জিজ্ঞাসা করল। ‘আরে! আমরা লুকোচুরি খেলছি। লুকোতে গিয়ে তোমার সামনে পড়লাম’–হরিণ ছানা হাসতে হাসতে বলল। খরগোশ ছানা বলল, ‘চল, আমরা একসাথে খেলি।’
তিতলি বলল, ‘আমিও খেলবো।’ তিতলি, খরগোশ আর হরিণছানা তিনজন খেলতে শুরু করল। তা দেখে বনমোরগ, বুনো হাঁস. সজারু, বাদামি কাঠবিড়ালি, ভাল্লুক ছানা, শেয়াল ছানা, সাদা সারস আরো অনেকে খেলতে চলে আলো। এত্ত খেলার সাথী! তিতলি খুশিতে আটখানা। বাসায় তিতলিকে একাই খেলতে হয়। বাবা চলে যায় অফিসে। আর মা ব্যস্ত রান্নায়। তিতলির সাথে খেলবে কে? কিন্তু এখানে তিতলির অনেক বন্ধু। মনের আনন্দে খেলছে তিতলি। হরিণ ছানা লাফাচ্ছে। মযূর পেখম তুলে নাচ দেখাচ্ছে। কি সুন্দর ময়ূরের নাচ! এরপর সবাই মিলে গান গাইল, নাচল, ঝোঁপের ভেতর লুকোচুরি খেলল। অনেক আনন্দ হলো।
বিকেল হয়ে এল। ‘তিতলি, তিতলি’, দুর থেকে মা ডাকছে। শুনতে পেল তিতলি। হরিণছানা বলল, ‘যাও তিতলি, তোমার মা তোমাকে ডাকছে। চল, তোমাকে বনের বাইরে দিয়ে আসি।’ সবাই তিতলিকে বিদায় জানালো। বলল, ‘আবার সময় পেলে বনে যেন বেড়াতে আসে। তখন আরো মজা করে খেলা যাবে।’ তিতলির মা দেখল তার মেয়ে বন থেকে বের হয়ে এলো। পেছনে একটা হরিণ ছানা। তিতলির মা তো অবাক। কাছে আসতেই বলল, ‘পেছনে একটা হরিণ ছানাকে দেখলাম!’ তিতলি হেসে বলল, ‘মা, ওরা তো আমার বন্ধু। অনেক ভাল বন্ধু।’ তিতলির মা অবাক হয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলেন।