বনজ্যোৎস্না
ছায়ারোদের প্রস্তাবে উড়ে এসো মেঘ
প্রগাঢ় ও প্রেমের শাসন ছিল ঠোঁটে
বৃষ্টিকথা নির্জন থেকে নির্জনতর ঘাসে
ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে জ্বলে বনজোৎস্না
বিদ্যুতের কথা ভাবলেই
আকাশে শানিত ছুরির খেলা
এভাবে আলোকিত ঘর ও বাহির
বৈধ মেনেছ যদি, এসো স্বপ্নে বা সর্বনাশে।
আশ্চর্য ম্যাজিক
প্রহর গুলি কেটে যায় অতি দ্রুত
এখানে নেই কোনো রাত্রিবাতাস
সহমর্মিতার স্পন্দনে সুবাতাস
বেনোজলের নেই কোন প্রবেশ অধিকার
ঘরের ভিতরে এক অন্য ঘর
যেভাবে মনের ভিতর জাগে অন্যমন
মায়ামৃগ নাও তুমি নিজস্ব মানবী
ভালোবাসায় কেবল জানে সাজাতে
ভালোবাসায় নির্বিকল্প চলমান ছবি
লিখে রাখি এঁকে রাখি হৃদয়ের ক্যানভাসে
তুমি চলে গেলে অসীম নিঃসঙ্গতায়
সোনালি মাছ হয়ে ডুব দেই স্মৃতির গভীরে।
মায়াভেলা
হেমন্তের নরম ঘাসে কত চিকি চিকি নেহার
তার উপর দিয়ে হেঁটে চলেছি আমরা
এক ঝাঁক টিয়া উড়ে গেল মাথার উপর
সবুজ টিয়া তোমার প্রিয় পাখি
হাতের ভিতর হাত! সহজ নয়! অজানা ভ্রমণ
মেঘ আমার প্রিয়, দিগন্তচারি প্রেম অনির্বাণ
আকাশে সপ্তবর্ণ, স্মৃতির উঠানে জ্যোৎস্নাবিলাস
এক অপরাহ্ন ভেলা ও ভাসমান উল্লাস।
যন্ত্রণা
একটি সম্বৃদ্ধ স্তবক লিখব বলে
কাছে ঘুরে বেড়াই মানুষের ভিতর
মানুষই ফোটায় গোলাপ ও রক্ত ঝরায়
কোথা থেকে আসে এই ঘুণ?
নাকি জন্ম থেকে ওদের বাস
পাঁজরের হাড়ে ঘুঁটি বানিয়ে কুরুক্ষেত্র
কী ভয়ঙ্কর এক ধ্বংসলীলা,
নাগাসাকি হিরোশিমা—!
আসলে যন্ত্রণার কোন রং নেই
ভিতরে ভিতরে এক ঝলসানো,
একটি সম্বৃদ্ধ স্তবক লিখতে গিয়ে
অশ্রুতে ঝাপসা হয়ে যায় চোখ
বাসি ও অসি পড়ে থাকে পাশাপাশি
নিজেরে গভীরে নিজেই জেগে থাকা,
আমি শুধু মসি নিয়ে বসে থাকি
যেন একটি জ্বলন্ত নিঃশব্দ প্রদীপ
দুঃখ পালক
অনেকে কান্না জমে আছে পাঁজরের নিচে
জমাটবাঁধা ভীষণ দুঃখের চিরকুট
দুঃখ লেখা চিরকুট গুলিকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিলাম
সকল চিরকুট পালক এ পরিণত হবে একদিন
জানি দুঃখ পালকের গায়ে আর দুঃখ লাগে না
শুভ্র পালোকে রাজহংসী তুমি জীমূতবাহন
সোনালি রুপালি শকুনেরা দেখে দেখুক
ঈর্ষা ও হতাশার দোলাচলে উহাদের ঠোঁট
এভাবেই জীবন ও আরও খানিকটা পথ