আড্ডাপত্র

৭ পৌষ, ১৪৩১; ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪;দুপুর ১২:২২

আড্ডাপত্র : প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রথম কবিতা– ১৪

প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রথম কবিতা আড্ডাপত্র প্রকাশ করছে। প্রথম কাব্যগ্রন্থের সাথে কবির আনন্দ, উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি পাঠকের কানে নতুন কবিতার গুঞ্জরণ ভেসে আসে। পাঠকের মনে কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতাটি তুলে ধরতে চায় আড্ডাপত্র। কবিতা পাঠের সাথে সাথে জানবো কবি সম্পর্কেও। এই আয়োজনটি পরবর্তীতে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হবে

প্রশ্ন

অরুণাভ সরকার

ইতিহাস কি রোমান্টি কবি?
গাঁয়ের বাউল?
অসীম ক্ষমার চ’লে যাবে দোতারা বাজিয়ে?
এই প্রশ্ন করেছিলো অনিচ্ছুক যোনির শোণিত
ভিখিরির বুকের পাঁজর
রাজপথে থেঁতলানো এক কিশোরের দেহ;
যে যুবক একগাছা দড়ি সহযোগে
নিপুণ পড়লো কেটে—তারও প্রশ্ন ছিলো
ইতিহাস কি অন্ধ, তার বন্ধ পাতা জুড়ে
কখনো হবে না লেখা
এই সব আদিগন্ত অন্ধকার
কার আঙুলের তালে নাচে?
প্রশ্ন করেছিলো, প্রশ্ন করে, প্রশ্ন ক’রে যাবে
আকণ্ঠ প্লাবিত গৃহ
অর্ধদগ্ধ মাঠের ফসল
প্রশ্ন করে দু’পঙক্তি দাঁতের মাঝে প্রত্যেক কাঁকর
জিরাফের মতো গলা এ্যমপ্লিফায়ারের একই প্রশ্ন
একই প্রশ্ন ময়দানের প্রতিটি ঘাসের

ইতিহাস কি যুবতীর প্রবৃদ্ধ নাগর।

[অরুণাভ সরকার (২৯শে মে, ১৯৪১ – ১৮ই ডিসেম্বর, ২০১৪) ছিলেন ষাট দশকের অন্যতম কবি, কলাম লেখক, সাহিত্য সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা। সরকার ১৯৪১ সালের ২৯শে মে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
অরুণাভ সরকার আজিজা সরকারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই সন্তান – পুত্র শুগত সরকার এবং কন্যা মিথিলা সরকার।
তার কর্মজীবন শুরু হয় দৈনিক সংবাদ-এ সাংবাদিক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি দৈনিক যুগান্তর, ইত্তেফাক, ডেইলি মর্নিং সান, গণবাংলা, নিউ নেশন, দৈনিক জনপদ, নিউজ টুডে, দি ইন্ডিপেন্ডেন্টসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে সাংবাদিক ও কলাম লেখক হিসেবে কাজ করেছেন।
অরুণাভ সরকার এর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: নগরে বাউল(১৯৭৬); কেউ কিছুই জানে না (১৯৮০); নারীরা ফেরে না (২০০৬) । শিশুসাহিত্য: খোকনের অভিযান (কাহিনি কাব্য ১৯৭৮); ইলশেগুঁড়ি ( ছড়া ১৯৭৯); ভালুক আর দুই বন্ধু (ছন্দোবদ্ধ প্রতিলেখন, ১৯৮৪); গল্প থেকে গল্প (প্রতিলেখন, ২০০৫); ভালুক আর মৌমাছি ( প্রতিলেখন, ২০০৫) নামে পাঁচটি শিশুতোষ গ্রন্থ রচনা করেন। প্রবন্ধ: সম্পাদনার প্রথম পাঠ (২০০৪)। এছাড়া তিনি ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৫ সালে কাব্য সাময়িকী “ঈশিকা” সম্পাদনা করতেন।
অরুণাভ সরকার ২০১৪ সালের ১৮ই ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছানুসারে তার মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে দান করা হয়।
লেখলেখির স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন –টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদ কবিতা পুরস্কার (২০০৭); কবিতায় অবদানের জন্য “বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০০৯)।

Facebook Comments

আড্ডাপত্রে লাইক দিন

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১