প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রথম কবিতা আড্ডাপত্র প্রকাশ করছে। প্রথম কাব্যগ্রন্থের সাথে কবির আনন্দ, উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি পাঠকের কানে নতুন কবিতার গুঞ্জরণ ভেসে আসে। পাঠকের মনে কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতাটি তুলে ধরতে চায় আড্ডাপত্র। কবিতা পাঠের সাথে সাথে জানবো কবি সম্পর্কেও। এই আয়োজনটি পরবর্তীতে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হবে।
একটি মৃত্যুতে
মতিন বৈরাগী
আচমকাই সব কিছু নির্বাক হয়ে গেলো।
দু’ফোটা চোখের জল মুছে
তাকালো পথচারী–করুণ
আকাশে উড়লো ক্লান্ত পাখিরা
ফুটপাতে কেঁদে উঠলো আশ্রয়হীন মানুষ।
অসহ্য যাতনার মতো মুষড়ে গেল হৃদয়
জানিনে কি শোকে
ফিরে তাকালাম ক্লান্ত আকাশটার দিকে
শুধু এইটুকু জানি
পঁচিশ হাজার লি’ পথ পেরুনো সেই
দুরন্ত মানুষটি আজ বড় বেশী শান্ত আর নির্বাক
শুয়ে আছেন সমস্ত আকাশ জুড়ে।
সব হারানোর
একবুক শোক নিয়ে
আবার আমি ঘরে ফিরে যাবো
আমি কি এতোই অক্ষম পুরুষ!
……………………
সেপ্টেম্বর ৭৬
মতিন বৈরাগী সত্তর দশকের অন্যতম কবি। জন্ম ১৯৪৬ সালে ১৬ নভেম্বর বরগুনার লাকুরতলা গ্রামে। তার পিতার নাম মোহাম্মদ নূরুল হক ও মাতার নাম সায়েরা খাতুন।
দীর্ঘদিন তিনি ব্যাংকিং পেশায় ছিলেন। কবিতা, প্রবন্ধ ও সম্পাদনা মিলে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা কুড়ির অধিক।
কাব্যগ্রন্থ: বিষণ্ন প্রহরে দ্বিধাহীন (১৯৭৭), কাছের মানুষ পাশের বাড়ি(১৯৮০), খরায় পীড়িত স্বদেশ(১৯৮৬), আশা অনন্ত হে(১৯৯২), বেদনার বনভূমি(১৯৯৪), অন্তিমের আনন্দধ্বনি(১৯৯৮) এবং অন্ধকারে চন্দ্রালোকে(২০০০); নির্বাচিত কবিতা (২০০১); দূর অরণ্যের ডাক শুনেছি(২০০৫), সিলেকটেড পোয়েমস (২০০৫), কবিতা সমগ্র (২০০৮); অন্যরকম অনেক কিছু (২০০৮), খণ্ডে খণ্ডে ভেঙে গেছি (২০১১); দুঃখ জোয়ারের জলস্রোত (২০১৪; শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০১৫); প্রিয় হয়ে বাজে (২০১৫); নানা রকম গল্প (২০১৫); চলো ভেঙে ফেলি (২০১৮); আনন্দময় নৈরাজ্য (২০২০);
প্রবন্ধ: কাব্য শিল্প আনন্দ (২০১৬); কবিতা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ; সাহিত্য মানব জীবনের দর্পন এবং অভিমুখ (২০১৮); নির্বাচিত প্রবন্ধ (২০১৯)।
সংকলন-সম্পাদনা: Golden Realm Of Poetry : Bangladesh (২০১৬, ফরিদ আহমদ দুলাল এর সাথে যৌথ)
দেশভ্রমণ: চীন, থাইল্যান্ড ও ভারত।