১৯০২ সালে জাপানি মনীষী, শিল্পকলার ইতিহাসবিদ, দার্শনিক এবং প্যান-এশিয়ানিস্ট ওকাকুরা তেনশিন ভারত তথা কলকাতা ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর এই ভ্রমণের পেছনে নানা লক্ষ ও উদ্দেশ্য ছিল। এর মধ্যে প্রধান যে উদ্দেশ্য ছিল সেটা হল, এশিয়ার দেশ ও জাতিগুলোকে একটি বিনিসুতোর মালায় গেঁথে তোলা। আরও পরিষ্কার বললে, এশিয়াকে একটি ইউনিয়নে বা ইউনিটিতে আবদ্ধ করা। অবশ্য এশিয়া মহাদেশ তো দুটি মহাসভ্যতা ভারত ও চীনের চিন্তা, ভাষা ও সংস্কৃতির দ্বারা হাজার হাজার বছর ধরে গভীরভাবে প্রভাবিত। কিন্তু অর্থনৈতিক অনুন্নত অবস্থান জাতিগুলোর মধ্যে নানা ধরনের ভেদবিভেদ সৃষ্টি করে আছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও যৌথসমন্বয় সাধন হলেই পরাধীন এশিয়া মহাদেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি স্থাপিত হবে। তাই তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘দি আইডিয়েলস অব দি ইস্ট’ (১৯০৩, লন্ডন) এর প্রথম বাক্যটিই হচ্ছে ‘এশিয়া ইজ ওয়ান’ অর্থাৎ ‘এশিয়া এক’। কী অর্থে এশিয়া এক: প্রধানত সমাজ, ধর্ম এবং সংস্কৃতির দিক থেকে।
ওকাকুরা তেনশিন
এই গ্রন্থের পাণ্ডুলিপিটি তিনি ১৯০১ সালে জাপানে বসে লিখেছিলেন তখন এর নাম দিয়েছিলেন, ‘দি আইডিয়েলস অবদি ইস্ট উইথ স্পেশাল রেফারেন্স টু দি আর্টস অব জাপান’ অর্থাৎ, ‘প্রাচ্যের আদর্শের সঙ্গে জাপানের শিল্পকলার অভিসম্বন্ধ’। কিন্তু কলকাতা তথা বাংলা অঞ্চলে গিয়ে তাঁর চিন্তা-চেতনায় নতুন এক আন্দোলন ও আলোড়ন দেখা দেয়। তখন ব্রিটিশ রাজত্বকাল। ইংরেজদের স্বৈরশাসনে শোষিত, নিষ্পেষিত বাংলা তথা ভারতবাসীর চরম দুর্দশাগ্রস্থ চিত্র তিনি দেখতে পান। বাংলায় তখন ইংরেজবিদ্বেষ ফুঁসে ওঠা শুরু করেছে কৃষক, নীলচাষী, মসলিন তৈরির কারিগর প্রমুখ শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে। স্বাধীনতা আন্দোলন দ্রুতগতিতে দানা বেঁধে উঠছে। ৪৫ বছর আগে ইংরেজদের বিরুদ্ধে মহাবিদ্রোহ তথা সিপাহী বিপ্লব ঘটে গেছে যার প্রভাব আদৌ মুছে যায়নি।
ওকাকুরা জড়িয়ে গেলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে। স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভগিনী নিবেদিতা, মিসেস ওলিবুল প্রমুখের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে দশ মাস অবস্থানের মধ্যে। তাঁদের সংস্পর্শ, চিন্তা-চেতনা, ধারণা ইত্যাদির দ্বারা তিনি প্রভাবিত হয়ে পড়েন। ভারত সম্পর্কে তাঁর পূর্ব ধ্যান-ধারণা অনেকটাই বদলে যায়। তিনি বুঝতে পারেন, ভারতবাসীর মূল সমস্যা তার অর্থনৈতিক দৈন্যতা, কারণ উপনিবেশিক শক্তি ব্রিটিশের হাতে ভারতের সমগ্র অর্থনীতি, উৎপাদন, কর-শুল্ক, বাণিজ্য সবকিছু। অর্থনৈতিক শক্তি অর্জন ছাড়া ভারতের স্বাধীনতা অসম্ভব। অর্থনীতি রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
একই অবস্থা চলছে চীনেও। ভারতে আসার আগে ওকাকুরা চীন ভ্রমণ করেছিলেন। এবং ব্রিটিশ কর্তৃক চীনের হংকং দ্বীপ দখল, বিভিন্ন প্রদেশে আফিম সরবরাহ, আফিম যুদ্ধের ইতিহাস সবই তিনি জানতেন। শান্তি সেখানেও নেই।
কাজেই ভারতবর্ষে এসেই তিনি উপলব্ধি করতে পারলেন যে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ঐক্য বা সমঝোতা ছাড়া এশিয়ায় শান্তি ও সমৃদ্ধি এককথায় অসম্ভব। সুতরাং এশিয়ার জাতিগুলোর মধ্যে ঐক্য দরকার। তিনি ‘এশিয়া ইজ ওয়ানে’র এই দর্শনে জাপানকেও বার্তা দিয়েছিলেন। ১৯০৪ সালে লিখলেন The Awakening of Japan বা ‘জাপানের জাগরণ’ নামে একটি গ্রন্থ। কারণ জাপানের পার্শ্ববর্তী সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র রাশিয়া এবং অনতিদূর হংকঙে স্থিতু হয়েছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। দুটোই প্রবল শক্তিশালী শ্বেতাঙ্গ সাম্রাজ্যবাদ। ভবিষ্যতে জাপানের নিরাপত্তাও হুমকির সম্মুখে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ওকাকুরার প্রবল ইচ্ছে ছিল চীন, জাপান ও ভারত ঐক্যবদ্ধ হোক। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তাঁর চীন ভ্রমণের ইচ্ছেও ছিল।
সুতরাং একুশ শতকে এসেও ওকাকুরার এশিয়াভিত্তিক ঐক্যের জাগরণ স্তিমিত হয়ে যায়নি বলেই প্রতীয়মান হয়। কেননা ১৯৯৭ সালে এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। দেখা দিয়েছিল প্রবল অর্থ সঙ্কট অর্থাৎ ডলার সঙ্কট। যাকে বলা হয়েছে তখন ‘এশিয়ান ক্রাইসিস’। জাপানসহ কয়েকটি দেশ নিদারুণ অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছিল।
এই ঘটনার আগে ১৯৯২ সালের দিকে দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং প্রভৃতি দেশগুলো ব্যাপক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করে। উদীয়মান এইদেশগুলোকে তখন ‘এশিয়ান টাইগার’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। মূলত এই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পেছনে রয়েছে জাপানের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সাহায্য-সহযোগিতা। জাপানের প্রথম শ্রেণীর প্রভাবশালী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ও কলকারখানাগুলো স্থানান্তর। এশিয়ার কতিপয় দেশের এই অপ্রত্যাশিত উত্থান স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকা ও পাশ্চাত্য দেশসমূহের কাঙ্খিত ছিল না বলাই বাহুল্য।
তারও আগে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কতিপয় দেশ মিলে The Association of Southeast Asian Nations, or ASEAN নামে একটি সংস্থা গঠন করে ১৯৬৭ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে। এর ১৮ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং মালদ্বীপ নিয়ে ঢাকায় গঠিত হয় ‘সার্ক’ (South Asian Association for Regional Cooperation)। এটা এশিয়ার জাগরণ। কিন্তু ‘আসেয়ানে’র তুলনায় ‘সার্কে’র তৎপরতা অনগ্রসর এবং উল্লেখযোগ্য কোনো প্রকল্প, পরিকল্পনা গৃহীত হয়নি, হয়নি বাস্তবায়নও। সাম্প্রতিককালে কোনো খোঁজখবরই পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এই সংস্থার সম্ভাবনা বিপুল।
অন্যদিকে ‘আসেয়ান’ স্থির এবং সুস্পষ্ট লক্ষে এগিয়ে চলেছে, ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে দেশগুলোতে। ২০১৫ সালে আসেয়ান গঠন করে ASEAN Economic Community (AEC) নামে একটি যৌথ প্রকল্প। সুতরাং এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো যদি একটি একক মুদ্রা চালু করে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কেননা ‘য়োরোপীয়ান ইউনিয়ন’ বা ঊটর উদাহরণ তো রয়েছেই। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এবং সার্বিক উন্নতির স্বার্থে আসেয়ান দেশগুলো একটি বিনিসুতের বন্ধনে বাঁধা পড়েছে। একইভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে চলেছে। অদূর ভবিষ্যতে সার্কভুক্ত দেশগুলোও একক মুদ্রা চালু করার চিন্তা করতেই পারে। যেহেতু আসেয়ানের চেয়ে সার্ক এর পরিধি ও জনসংখ্যা অনেক বেশি সুতরাং বিনিয়োগ, উৎপাদন ও বাজারের কারণে আসেয়ান, জাপান ও চীনকে আকৃষ্ট করবে। অবশ্য জাপান, চীন ও কোরিয়ান বিনিয়োগ বেড়েই চলেছে। তৈরি হচ্ছে প্রতিযোগিতা।
এছাড়া সাম্প্রতিককালে APEC=Asia-Pacific Economic Cooperation, RCEP=Regional Comprehensive Economic Partnership ইত্যাদি সংস্থাগুলোর কর্মতৎপরতাও বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। সুতরাং এই যে এতগুলো সংগঠন ও সংস্থার একটি অঞ্চলে গড়ে ওঠা ও তৎপরতা তাতে করে নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা ও জটিলতা দেখা দেবে। কাজেই এই জটিলতা দূরীকরণে একটি ইউনিয়ন বা ইউনিটি গড়ে তোলার প্রবণতা সৃষ্টি হবে বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। বস্তুত, অর্থনীতি হচ্ছে জীবনযাপনের মূল চালিকা শক্তি ও নিয়ন্তা। সুতরাং রাজনৈতিক সহনশীলতা অপরিহার্য। রাজনীতি সামাজিক সহবস্থান এবং ধর্মীয় সম্প্রীতিকে উৎসাহিত করে থাকে। এই ক্ষেত্রে জাপান অসামান্য একটি উদাহরণ। কাজেই ঐক্যবদ্ধ অর্থনৈতিক চিন্তাপ্রসূত মানবোন্নয়ই হওয়া উচিত এশিয়াবাসীর মূল লক্ষ। যা শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনতে বাধ্য।
বস্তুত, দার্শনিক ওকাকুরা এশিয়াবাসীর এহেন শান্তি ও সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করেই ‘এশিয়া ইজ ওয়ান’ বা ‘এশিয়া এক’ এর গুরুত্ব প্রদান করেছিলেন। স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, এশিয়ার ভালোমন্দ ও ভবিষ্যৎ প্রাচ্যবাসীদের হাতেই থাকতে হবে। আর এটা করতে হলে নিজেদের অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দিকে ফিরে তাকাতে হবে। এর বিকল্প নেই। কারণ আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সমাজবন্ধন, আধ্যাত্মিক চিন্তা, প্রকৃতিপ্রেম এবং মানবিক মূল্যবোধ চিরকালই ছিল বিশ্ববাসীর জন্য আলোর দিশারী, শান্তির আলোকবর্তিকা। ‘এশিয়া ইজ ওয়ান’ এই আপ্ত বাক্যে বিশাল এক সম্ভাবনা তথা আজকের ঐক্যবব্ধ হওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিতই করে গেছেন রাজনীতিসচেতন দূরদর্শী ওকাকুরা তেনশিন। আর এটাই ছিল এশিয়ার প্রথম চিন্তাবিদ ও ‘প্রাচ্যভাতৃবাদ’ বা ‘প্যান-এশিয়ানিজমে’র উদ্গাতা ওকাকুরার সুদূরপ্রসারী ভবিষ্যৎবাণী।
এমনকি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ওকাকুরার প্রাচ্যচিন্তার প্রভাব ছিল জাপানের উদ্যোগে গঠিত Greater East Asia Co-Prosperity Sphere উপরও। দুর্ভাগ্যবশত এই পরিকল্পনা যদিও বাস্তবায়ন হয়নি, লাগাতার চার বছরব্যাপী মহাযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের ফলে থেমে গেছে, কিন্তু তার জোরালো রেশ থেকে গিয়েছিল বলেই যুদ্ধের পরে ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা ও বানডঙে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্বের প্রথম ‘আফ্রো-এশিয়ান কনফারেন্স’ বা Bandung Conference, আফ্রিকা ও এশিয়ার দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক সংযোগকে সমুন্নত এবং উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ করার লক্ষ। এই সম্মেলনের উদ্যোক্তা ছিল ইন্দোনেশিয়া, বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও ভারত। শুধু তাই নয়, ১৯৬৭ সালে এশিয়ায় প্রথম ইউনিয়ন বা ইউনিটি ‘আসেয়ান’ সংস্থাটি গড়ে উঠেছিল। অবশ্যই এর পেছনে যুদ্ধের বিপর্যয় থেকে মাত্র ২০-২৫ বছরেই উঠে দাঁড়ানো বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি জাপানের প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক প্রভাব ছিল। এবং প্রকাশ্যে ছিল ODA (Official Development Assistance)-ভিত্তিক ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা।
সুতরাং ওকাকুরার এই ভিশনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমে একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন। যাতে করে এশিয়া তথা প্রাচ্যের চিন্তা, আদর্শ, ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে বিশ্বে সমুন্নত রাখা যায়। অবশ্য পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বজনীনতার কথা চিন্তা করে ওকাকুরার ‘এশিয়া ইজ ওয়ান’ এই দর্শন থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ১৯৯৩ সালে নেদারল্যান্ডসে গঠিত ‘European Union’ বা EU রবীন্দ্রনাথের বিশ্বজনীন চিন্তাকে ধাক্কা দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে এই জোটকে কী বলতেন জানি না, কিন্তু তিনি যে বিস্মিত হতেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অঞ্চলগত বা মহাদেশীয় ইউনিয়ন, ইউনিটি বা ঐক্যবদ্ধতার প্রয়োজনীয়তা বা প্রবণতা যে বিশ্বশান্তির জন্য বাস্তব পদক্ষেপ এটা এখন দিনের আলোর মতো সুস্পষ্ট। তারই প্রভাবে গঠিত হয়েছে ‘আসেয়ান’, ‘সার্ক’ ইত্যাদি। বিচ্ছিন্নভাবে থাকার চেয়ে অন্তত এই দুটি বলয় এশিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে, উন্নয়ন তৎপরতাও চলমান। একটি অংশের এই আংশিক ঐক্যবদ্ধতাই ‘এশিয়া ইজ ওয়ান’ হয়ে ওঠার বাস্তব পদক্ষেপ। এখন এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তর ঐক্য ও উন্নতিকে কেন্দ্র করে একটি উন্নত এশিয়ার ভিশনকল্পে অর্থনৈতিকভাবে একটিই ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা হওয়া জরুরি। যেখানে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তি, সামাজিক শান্তি, আধুনিক শিক্ষার উন্নতি এবং নানাবিধ সংস্কৃতির বৈচিত্র্য বজায় থাকবে। থাকবে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ভাববিনিময়, অবাধ যাতায়াত, যোগাযোগ ও যৌথ সম্মিলন।
বস্তুত, এটাই ছিল মনীষী, দার্শনিক এবং প্যান-এশিয়ানিস্ট ওকাকুরা তেনশিনের একুশ শতকের ভিশন–‘এশিয়া ইজ ওয়ান’।