সীমাহীন অন্ধকার
অনন্ত অসীম আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে
চারিদিকে তাকিয়ে দেখি সীমাহীন অন্ধকার
মনের গভীর হতে অস্পষ্ট শব্দ জেগে উঠে
সে কি শব্দ ?
নাকি কোন বেদনার হাহাকার ?
ঝড়ে নিভে গেছে জলন্ত প্রদীপ ঝাপটা বাতাসে
পথ গেছে হারিয়ে-
কোন পথে চলবো আবার হৃদয় কাঁদে ভয় ও ত্রাসে
আশাহত অতৃপ্ত প্রাণ তবু কি শুনতে চায়
বেদনায় কান্নার সুর; নাকি জয়ের গান?
নীল আকাশে সন্ধ্যার তারা
মেঘের আড়ালে গেছে মিলে যেন বহুযুগ ধরে
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে এখনো তারে মনে পড়ে!
রাত-দিন চোখের জল ঝরে স্রোতধারায়
স্তব্ধ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে তৃষ্ণার্ত হয়ে
আশাহত প্রাণ পাষাণে বুক বেঁধে আছে
সীমাহীন অন্ধকারে নীল- নীলিমায়!
স্মৃতির গহনে
স্মৃতি খুঁজে ফিরি আজ স্মৃতির গহনে
হাত ধরাধরি করে বর্ষামুখর রাতে প্রণয়
মন-প্রাণ সুধায় ভরা
থরোথরো কম্পিত অঙ্গ হারিয়ে যেত
নিবিড় স্পর্শে
খনিকের জন্য বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া, সেই
স্মৃতিটুকু আজ খুঁজে ফিরি স্মৃতির গহনে
সময়ের স্বার্থপরতা বদলে দিয়েছে অনেকখানি
স্মৃতিটুকু আর স্মৃতিতে রাখার সময় হয়নি!
হারানো অতিতের মতো হৃদয় ও গেছে হারিয়ে
হারিয়ে ফেলেছি চেনা পথ চোখ
আজ আবার বর্ষামুখর রাত!
সেই স্মৃতিটুকু খুঁজে ফিরি স্মৃতির গহনে!
ভীরুতা ভাঙে
আসমান যখন আঁধারে ঘেরা
ছিলো না তখন নির্ভয় আশ্রয়
আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ দেখিয়ে
দৈত্য-দানব অন্ধকারে ডুবিয়ে দিলে নিমিশেই
এখন ক্ষমাহীন ইন্দ্রীয় কুড়ে কুড়ে খায়
বহমান রক্তে উথাল পাথাল ঢেউ
ঢেউয়ে তোলপাড় চোখে রক্ত ঝরে
এঁকে দেয় অতীতের সুপ্ত কারুনকশা
ভীরুতা ভেঙে ক্রমশ ছেড়ে যায় পদতল
এবার নিশ্চিত স্বাধীনতা
নতুন দর্পনে প্রতিবিম্ব!
আমাকে ছুঁয়ে যায়
নি:সঙ্গতাকে জেনেছি পরম সুহৃদ
অনেকের মতো আমিও একা থাকি স্বপ্ন ভাসাই
দূর দিগন্ত থেকে কে যেন ডাকে চিৎকার করে
ছুঁয়ে যায়!
ঘুমিয়ে থাকা স্নায়ুর ভেতর সহসা উৎসুক স্পন্দন
অদৃশ্য আহবানে অশ্বের মতো লাফিয়ে উঠে ইন্দ্রীয় !
আমার একাকীক্ষণ বিন্যাসে ভরে যায় অলৌকিক সান্নিধ্যে!
খুঁজি
অদৃশ্য ছায়ায় খুঁজি অস্তিত্ব
নীল সাগরের ঢেউয়ে খুঁজি দেহের জ্যোতির্ময় আভা
পুবালি বাতাসে খুঁজি কুমারীর গন্ধ
বৃষ্টির শব্দে নূপূরের রিনিঝিনি
উষ্ণপাত্র ভরে না বৃষ্টির জলে
কোমল স্বপ্নের ভাঁজে লুকিয়ে থাকে নিস্তব্ধতায় তবু খুঁজি
নির্ঘুম প্রহর কাটে শ্রান্তমনে দীর্ঘশ্বাস!
দিনের আলোকে মানুষের ভীড়
সেখানেও খুঁজি-
খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত গুমরে উঠে মন
সময় যাচ্ছে ফুরিয়ে!