আড্ডাপত্র

৬ কার্তিক, ১৪৩১; ২২ অক্টোবর, ২০২৪;সকাল ১১:৪৪

জন্মদিনে ফজলুল হক তুহিনের দশ কবিতা

আড্ডাপত্র

জানু ১৫, ২০২১ | গুচ্ছ কবিতা, জন্মদিন

সরাও তোমার বিজ্ঞাপন

আমার নক্ষত্র ঢেকে যায়, আড়ালে আমার চাঁদ চলে যায়
আমার দিগন্ত চোখ থেকে অদৃশ্যে হারায়
তোমার বিশাল বিজ্ঞাপনে।

আমার স্বপ্নের সেই মানবীকে অস্বচ্ছ, ঝাপসা
করে দিচ্ছে সজ্জিত মডেল— বর্ণিল আলোর ঝলকানিতে।
আমার স্মৃতিতে যতগুলো নদী-নারী-নিসর্গের
জলছবি আছে— সবগুলো এই আলোর ঝিলিকে
দিকেদিকে দৌড়াচ্ছে, পালাচ্ছে। বিচলিত, বিলোড়িত
ঝলসিত সব শান্তিছবি-ছায়াছবি! কোথা রাখি
এই চোখ এই মন?
সরাও তোমার বিজ্ঞাপন!
সকাল সন্ধ্যায় আমি এইপথ দিয়ে হেঁটে যাবো আমার পদ্মায়—
চোখের তারায় চাঁদ রেখে সপ্তর্ষির ইশারায়
লাইলির চেনাপথ ধরে জুলেখার আঁচল উড়িয়ে
হেলেনের ট্রয় ঘুরে আসবে আমার মনপবনের নাও।
পথের দুপাশ খুলে দাও!
পুঁজির প্রকাশ যেন অন্ধ না করে সবুজ-দিগন্ত-আকাশ
চাঁদসূর্যের আলোয় মেলে দিই এই আত্মা এই মন
সরাও তোমার বিজ্ঞাপন!

একবার ঘুরে দাঁড়ালেই

[ফিলিস্তিনী জনগণের উদ্দেশে]

অনেক হয়েছে কাব্যগান
অনেক হয়েছে শোকগাথা
অনেক মৃত্যুর স্রোত ধরে আসেনি জমিনে জীবনের রোদ
ভূমিজলহীন মেঘবৃষ্টিহীন ডানাহীন কতদিন আর ধুকে ধুকে মরা
দানব ট্যাঙ্কের গোলা হৃৎপিণ্ড এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়
আমরা ব্যথার সুরে গেয়ে উঠি শুধু ধ্বংসের এলিজি
প্রতিদিন প্রতিক্ষণ মারণাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র বিনাশের দুন্দুভি বাজায়
আর আমরা চোখের নোনা জলে যুগযুগ ধরে লিখে চলি এপিটাফ
এভাবে হয় না, ইতিহাসে এভাবে তিমির বিদায় হয় না

রক্তের বদলা রক্ত ছাড়া আর কিছু নেই পৃথিবীতে
ন্যায়ের বিজয় মানুষের রক্তের ধারায় বহমান চিরকাল

শুধু একবার চলো ঘুরে দাঁড়াই আমরা
ভূমধ্যসাগর থেকে তুলে আনি তরঙ্গের শক্তি আর তুফানের ক্রোধ
তারপর হেঁটে চলি সঙ্গে ক্ষোভের দ্রোহের পদাবলী
অক্ষরের ক্ষেপণাস্ত্র ছন্দের রকেট এঁকে দেবে প্রতিরোধ
বন্ধু, শুধু ঝাঁকবেঁধে শিশু হত্যার কান্নায়
বারুদের গানে দাউদাউ জ্বলি

তারপর সামনে গাজার রাজপথ— মুক্তির মিছিল
অতঃপর লেখা হবে মানুষের জয়— শান্তির নিখিল
তারপর ডানা মেলে দেবে উজ্জ্বল জেরুজালেম
শেষমেশ মানুষের হৃৎপিণ্ডে অঙ্কুরিত হবে সত্যিকার প্রেম ॥

রাক্ষসীর কাল-অজগর

রাতদিন রাক্ষসীর কাল-অজগর সবকিছু গিলে খেতে খেতে
আজ আমরা এমন একটা সময়ে এসে হাজির হয়েছি
রাক্ষসীর মায়ায় যখন সবকিছু
পাথরের মতো বোবা
মানুষের স্বাধীন জীবন তার কাছে বিষকাটালির মতো মনে হয়

সোনার কাঠি রূপার কাঠি দিয়ে জীবনস্পন্দন আটকে রেখেছে
সবুজের অঙ্কুর, নদীর ধারা, বিহঙ্গের ডানার উড়াল
রাক্ষসীর মায়ার রাজত্বে নিস্তব্ধ নিথর
শুধু পোষা রাক্ষসেরা আর খোক্ষসেরা সারাক্ষণ হাঁক ছাড়ে: হাউমাউখাউ
মানুষের গন্ধ পাউ

সেই কবে রাক্ষসীর পেটে চলেগেছে সাহসী প্রাণের ঝাঁক
দিগি¦জয়ী অরুণ বরুণ কিরণের হাড়মাংসমাথা
সেই কবে থেকে আমাদের প্রাণভোমরার ডানা
গুমরে গুমরে মরে পাতালপুরীতে
প্রতীক্ষায় থেকে থেকে তীর্থকাক হয়ে আমরা কাতর বহুকাল
তবু কেউ ডালিমকুমার হয়ে ওঠেনি কখনো
রাক্ষসীর খাঁচার দেয়াল ভেঙে মুক্তির আকাশে কবে হবে উড্ডীন জানি না কেউ

সেই কবে থেকে পারুলের কণ্ঠ সাতভাই চম্পা জাগরে জাগরে ডাকে
দিগন্ত আকাশ পবন ভরিয়ে তোলে
তবু কেউ রাক্ষসীর কাল-অজগর বিনাশে উদ্ধত সঙ্গিন হয়নি

এই পাথর সময়ে কে হয়ে উঠবে ডালিমকুমার
কারো দিকে চেয়ে থেকে শুধু কাল বয়ে যাবে নিষ্ফল নীরব
তাই চলো তুমি আমি হয়ে উঠি সেই ত্রাণকর্তা
অতঃপর জীয়ন কাঠির ছোঁয়া দাও
জীয়ন্ত মানুষ হয়ে আবারও প্রাণময় করে তুলি
জীবনের প্রান্তর শহর গাঁও।

সময়ের সিঁড়ি

আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে এমন একটা সময়ের সিঁড়ি
যে সিঁড়ির ওপারে হাসছে জীবনের পূর্বাচল
কিন্তু এক একটা সিঁড়ির ধাপে একেক রকম বিনাশী ছোবল
প্রথমেই দাঁত বের করে আছে চিতার রক্তাক্ত থাবা
পরের ধাপেই ফণা তুলে ফোঁস ফোঁস করে হরণের অজগর
তারপর বিশাল হা করে আছে মৃত্যুর কুমির
এভাবে সিঁড়ির ধাপে ধাপে হিংস্রতা, অশুভ ভয় করে ভীড়

আমরা ভয়েই শামুকের মতো মুখ লুকিয়েছি সুদৃশ্য খোলসে
কচ্ছপের মতো মাথা ঢেকে নিয়েছি শঙ্কিত নিরাপদ আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে
তাহলে আমরা আজীবন অস্তাচলে রয়ে যাবো ডুবে ডুবে?
সিঁড়ি বেয়ে একবার ওপারের সবুজ আলোয় ডানা মেলবো না?
মৃত্যুছোঁয়া সিঁড়ি পার হলেই জীবন জেগে উঠবে অবাক সূর্যোদয়ে

তবে আমাদের দুঃখ হয়ে যাক কালবৈশাখীর শক্তি
আমাদের দীর্ঘশ্বাস থেকে জন্ম হোক সাহসের জাগর বারুদ
আমাদের যন্ত্রণার বান হোক পূর্ণিমা রাতের প্লাবিত জোয়ার
আমাদের পদক্ষেপ হোক পদাতিক দাবানল

যেভাবেই হোক ভেঙে ভেঙে পার হতে হবে সময়ের সিঁড়ি
খোলস ছাড়িয়ে চলো একবার হয়ে যাই ফুঁসেওঠা অগ্নিগিরি।

মেঘবৃষ্টি ঝড়বজ্র

সারাদিনমান মেঘ জমা হও নৈঋতে ঈশানে
সমস্ত আকাশ জুড়ে ছেয়ে যাও খরার উজানে

ছিন্ন ছিন্ন মেঘপুঞ্জ ঝাঁক বাঁধ দৃঢ়তার সুরে
শত বছরের দুখে কৃষ্ণবর্ণ হও কাছে দূরে

এবার গর্জন তোলো আকাশ জমিন আদিগন্ত
ভয়ের জন্তুরা মরে যাক সাহসেরা প্রাণবন্ত

কতো যুগ খরার দহন, নেই সবুজ অঙ্কুর
আয় বৃষ্টি ঝেপে, এই মাটি হোক প্রাণের নূপুর

জন্ম নিক প্রত্যয়ের দেবদারু গগন শিরিষ
মরা নদীরা আবার কূলপ্লাবী হোক অহর্নিশ

কড় কড় ঝড় ওঠো বুকে বোধে শিরায় শিরায়
জেগে ওঠা চর ভেঙেচুরে যাক রক্তের ধারায়

আগ্রাসী আঁধার চিরে হেসে ওঠো বিদ্যুৎ-উল্লাস
আর কতোকাল দেখে যাবো বলো প্রাণের বিনাশ

পদ্মা মেঘনা যমুনা সাক্ষী, সাক্ষী ওই হিমালয়
মেঘবৃষ্টি ঝড়বজ্র শেষে হবে রবির উদয়।

ভয়ের বরফ যুগ

কতোকাল কেটে যাচ্ছে ভয়ের বরফ যুগে
রক্তে ও বাহিরে শঙ্কা তুষারপাতের মতো ছেয়ে যাচ্ছে কতোকাল
শিকারির লোভে সাদা ভালুকের পদছাপ রক্তের অক্ষরে আঁকে পথ
স্বজনের শোকে অশ্রু জমে জমে পর্বত উঠেছে আকাশ সমান
কোথাও উত্তাপ নেই
সাহসের অগ্নিগিরি প্রত্ন ইতিহাসে ছাগলের ঘাসে দীর্ঘশ্বাসে ঢাকা
কোথাও মানুষ নেই
সবুজ অঙ্কুর
খোলা বাতাসের গান
নদীর পরাণ
মুখরিত গাঁও
বিরল সুখের মতো রাতের স্বপ্নের মতো উধাও উধাও।

লৌহযুগ পার হয়ে তাই ভদ্র পেঙ্গুইন হয়ে হেলে দুলে চলি ফিরি
রাগের বারুদ নেই
আবেগের মেঘেরা নিখোঁজ
চোখের সামনে ঈগলের নখঠোঁট ছিঁড়ে খায়
সন্তানের দেহপ্রাণ
আমরা ভয়ের শীতে কুয়াশায় থরথর কাঁপি অফুরান।

ভয়ের ভূগোলে আমাদের বসবাস
পুত্রহারা বোবা বঙ্গ জননীর কান্নাভেজা হাহুতাশ
রক্তের স্পন্দনে বয়ে আনে সর্বনাশ!

কোথায় মানুষ আছে জানা নেই কারো
যদি কোনো সাড়া থাকে
ভয়ের বরফ ভেঙে আগুন জ¦ালতে পারো
সহসা মানুষ যুগ ফিরে আসবে জগতে
চেরাগ আলীর শোণিতের পথে।

কালের দেয়াল

আজকাল দেয়ালই মুখ্য হয়ে সামনে দাঁড়ায়
জীবনের প্রাণপাখি রক্তমুখে ডানা ঝাপটায়

উড়াউড়ি দিন যেন ঝরা পালকের ক্ষতস্মৃতি
বাতাসে বিলীন আজ কর্ষিত অর্জিত সব কৃতি

কালের দেয়ালে তাই দুই প্রান্তে আমরা দুজন
যাপিত জীবন মনে হয় রক্ত লাভার ভুবন

দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে কোটি মানুষের দীর্ঘশ্বাসে
প্রতিটি ইটের মনে গায়ে খুনের কাহিনী ভাসে

দেয়াল ভাঙার চিন্তা আজকাল উধাও পবনে
তাই লুটের আনন্দ প্রাণ পায় ভোগের ভবনে

জিয়ে রেখে আর কিবা হবে মানুষের পরিচয়
যখন আহত মন মেনেছে আসন্ন পরাজয়

হয় মরি নয় ভাঙি আজ দেয়ালের শিরদাঁড়া
ভাঙনের পর আসে জানি সব জীবনের সাড়া ॥

রোসাঙ্গ রাজার কবি

রোসাঙ্গ রাজার কবি
আজকে লিখুন নয়া ইতিহাস
স্তুতি নয়, কাব্য নয়, গান নয় মানুষের পরাজয়
জীবনের সবুজ প্রান্তর, সজীব অন্তর
দানবের গ্রাসে হয়েছে বিনাশ
অক্ষরের অলঙ্কারে আর কতো সাজাবেন অপার্থিব পদ্মাবতী
এবার আঁকুন মাথাকাটা মানুষের রক্তধারা
জানবেন
নাফ নদীর অপর নাম শোণিতের স্রোত
শিশু হত্যার হুঙ্কার আজ রোসাঙ্গ রাজার কণ্ঠস্বর
রক্তাভ মাটিতে নারী নিগ্রহ বুনেছে
পৃথিবীর যাবতীয় লজ্জার শেকড়।

জগতের সমস্ত আগুন আজ আরাকানে—
খড়ের ছাউনি মাটির উঠোনে মানুষের বিপন্ন হৃদয়ে
মহাকবি, চোখ মন খুলে আজকে দেখুন—
সাত পুরুষের বাস্তুভিটা চোখের পলকে দাবানল, অতঃপর কেবলই ছাই
কাব্যের লাবণ্য নেই
স্বাভাবিক জীবনের গন্তব্যের নাম সর্বস্ব হারানো অদ্ভুত উদ্বাস্তু
বাঁচার আপ্রাণ গতিপথ বঙ্গোপসাগরে ভাসমান নৌকায় থেমেছে
অনন্ত নীলের নিচে সামুদ্রিক মৃত্যুর ঢেউয়ে
আছাড়ি পিছাড়ি খেয়ে কোথায় চলেছে আরাকানী জনস্রোত?

কবি
পৃথিবীর তাবৎ দুঃখের নাম বদলে লিখুন আরাকান
পৃথিবীর সমস্ত রক্তের নাম পালটে রাখুন আরাকান
পৃথিবীর যাবতীয় খুনের কাহিনী বসত গড়েছে আরাকান
পৃথিবীর সবচেয়ে পরবাসী বিষাদের জনপদ আরাকান।

আলাওল, আপনি বলুন
কবে রোসাঙ্গে উদিত হবে জীবনের জয়গান?

পৃথিবী ২০২০

সূর্যের সংসারে বাঁচার আশ্রয় কেবল এই পৃথিবী নামের গ্রহ
অথচ এ-আমার পাপের পাথর পাহাড় হয়ে ছুঁয়েছে আকাশ
সমস্ত নির্মল বায়ু বিষময় করে নিশ্বাসের করেছি অযোগ্য
নদী সমুদ্রের ঢেউ, জলতরঙ্গের ধ্বনি দূষণে দূষণে জীবনের শত্রু
বির্স্তীণ জমিন বীজের বিপক্ষে
বিনাশের রসায়নে অঙ্কুরের অবসান
আমরা এখন ক্রমাগত মরণরেখার কাছাকাছি !

অগণন পণ্যভোগে ডুবতে ডুবতে আমি আজ
অনিশ্চিত অতল গহ্বরে নিমজ্জিত
বস্তুর ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে আমি সেচ্ছায় গর্বিত বস্তুবন্দি
মানবিক সবকিছু এখন আমার কাছে আবর্জনা
আমি সজ্জিত বর্ণিল সভ্যতার উদ্ধত সন্তান
আমি তাই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো একাকী ফেনিল।

অদৃশ্য ঘাতক মানুষের ফুসফুসে- মরণের বিষযাত্রা
আমার আত্মায় ঘর বেঁধেছে আরব্য রজনীর ভূতের মতন
আমাদের শরীরে শহরে গাঁয়েগঞ্জে জনপদে সবখানে
ঘামের মতন লেপ্টে আছে ভয়ঙ্কর ভাইরাস-
বিক্ষত গ্লোবের বুকে বিষাক্ত দাঁতের মরণ কামড়
অনন্ত বাঁচার ইচ্ছা আজ ডুকরে ডুকরে কাঁদে রাত্রিদিন
নূহের প্লাবনে যেনো নিঃসহায় নিরুপায়
লূতের শহরে আসন্ন মৃত্যুর অপূর্ব মহড়া !

সভ্যতার সমরাস্ত্র, পুঁজির প্রতাপ, ভোগের বিলাসী সরঞ্জাম
প্রযুক্তির অহঙ্কার- সবই এখন বড্ড হাস্যকর
অর্থহীন
মূল্যহীন
মৃত্যুগন্ধময়

বিনাশের পথে ধাবমান এক করুণ কোরাস !

আলো

ঝিনুকের মাঝে মুক্তা লুকিয়ে থাকার মতো
আমার সত্তায় আলোর একটি বীজ সুপ্ত হয়ে ছিলো বহুকাল

হঠাৎ সেদিন প্রথম সূর্যের মুখোমুখি হতে
বজ্রপাত হয়ে যেন ঝলকানি দিয়ে গেলো সপ্ত আকাশ পর্যন্ত
কি আশ্চর্য আমার হৃদয়ে দিগন্ত বিস্তারি সূর্যোদয়
কুয়াশার পর্দা ছিঁড়ে জ্বলে উঠলো সহসা
দুর্বা ঘাসের সবুজে গাছের পাতায় ফসলের মাঠে জনপদে
সেই আলো মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লো বিদ্যুৎ রেখার মতো
পিরামিড যুগ থেকে বহমান সময়ের সমস্ত আঁধার
আমি নিমেষেই ছুঁড়ে ফেলে দিলাম কালের ডাস্টবিনে।

অতঃপর সূর্যাস্তের শেষ আলো নদী ও আকাশের সন্ধিস্থলে
ডুবে গেলে দ্বাদশী চাঁদের আলোয় আমার প্রাণ
জোছনার জোয়ারে প্লাবিত স্নাত হয়ে গেলো মহানন্দে
কালো মেঘের ডানায় জোছনার গ্রাস হলে
হৃদয়ে আমার নক্ষত্রপুঞ্জ দীপ্তি ছড়ালো হাসিতে
আমি সত্যি বুকে পুরে নিয়েছি সাতটি তারার জ্যোতি থেকে
নিহারিকাপুঞ্জ পর্যন্ত সমগ্র আকাশ!

বঙ্গপোসাগর থেকে উঠে আসা আগ্রাসী মেঘের দৈত্য
আমার আকাশ ছেয়ে ফেলে মুহূর্তেই আমি
ডানা ঝাপটিয়ে আলোর তৃষ্ণায় সাঁতার দিলাম প্রাণপণ।

দেখলাম জীবনের প্রেমে গুঞ্জরিত জোনাকীর ঝাঁক
আমার হৃদয়ে দীপ জ্বেলেছে অবাক!

Facebook Comments

আড্ডাপত্রে লাইক দিন

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১