পাখিজন্ম
দেয়ালে কয়লায় আকা ছবি
পাখিটা উড়তে শেখে একদিন
ঠোঁটে করে খড়কুটো জড়ো করে
বাসা বাধে জানালায়, তা দেয় ডিমে
ডিম ফেটে বের হয় ফুটফুটে ছানা
মা পাখিটা ছবি হয়ে আবার ফিরে যায় দেয়ালে
ক্ষুধার্ত পাখিছানার চিৎকারে আমার ঘুম আসে না…
পাটিগনিতের গ্রাম
চরের বালিতে দাফন করেছি জুতোর একপাটি
অনেকটা পথ এখনও বাকি….
হাঁটা বলতে পায়ের ফোসকাকে অস¦ীকার বুঝি
একপাটি জুতো নিয়ে মাইলের পর মাইল
পকেটে জুতো হারানোর শোক; হাঁটতে হাঁটতে দেখি
নদী ভাঙনের কাছাকাছি কবরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সব আঙুল
কবরে বহুকালের খুঁজে ফেরা অক্ষত পা…
শহরের অভিধান
অবশেষে জেনে গেছি সেই শহরের নাম,
যেখানে জুতো পায়ে প্রথম হেটেছে মানুষ;
মেলেনি জুতো ও পায়ের মাপ…
মৌলভীর পকেটে পাওয়া ট্রেনের টিকেট
সেখানে নেই যাত্রীর নাম, আসন নাম্বার
চেনা স্টেশনে চায়ের লিকারের গাঢ় ঘুপানের পিকের মতো ছুঁড়ে দিলে দেয়ালে…
সারল্য ছাড়া তার কোনোও অপরাধ নেই
শহরের ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে সেও জেনে যায়
সেদ্ধ ধানের পিঠে জন্মানো গাঢ় তিলের অপরাধ।