কে ভেবেছিলো
কে ভেবেছিলো আকাশটা ঘুরে দাঁড়াবে না
মুষলধারের বৃষ্টিকে ভেদ করে
ঘনকালো মেঘকে উপেক্ষা করে
বিদ্যুতের ধারাপাত কিম্বা মুর্হুমুহু দৈত্যকার গর্জনে
কে ভেবেছিলো আকাশটা ঘুরে দাঁড়াবে না।
কে ভেবেছিলো এই ধূসর মাটি ঘুরে দাঁড়াবে না ?
রিখটার স্কেলে উপচে পড়া সাগরের জল
মাটিকে গিলতে চেয়েছিলো যেদিন
থরথর করে কাঁপছিলো সমস্ত সভ্যতা
মানুষের সাধ্যমত বাড়ী ঘর , তখন কে ভেবেছিলো
এই ধূসর মাটি আর ঘুরে দাঁড়াবে না।
আকাশের তো আছে ঘুরে দাঁড়ানোর কঠিন বিশ্বাস
মাটির তো আছে পাহাড়ের মতো দৃঢ় স্থরিতা
তবু কে, কে ভেবেছিলো
এই ঝড়ো বাতাস ঘুরে দাঁড়াবে না
এই নদীমাতৃক স্রোত কূলে আসবে না
এই শুকনো অনাবাদী জমিনে আর ফসল ফলবে না।
এই শাষনতন্ত্রের বেসামাল আইন হাতে হাতে মৃত্যু পরোয়ানা
দুহাতে সরিয়ে আজকের বর্তমান ভবিষ্যতে হাঁটবে না
কে ভেবেছিলো এই সভ্যতা, রাষ্ট্র, আমাদরে স্বাধীনতা সম্ভ্রম,
মূল্যবোধের এজলাসে আর ঘুরে দাঁড়াবে না
বাংলাদেশ হাসবে না নতুন মুক্তির হাসি
জানি, আমি জানি একদিন এই মধ্যান্থের মলিন ফুল
ঘোমটা খুলে হাসবে সুন্দর সকালের হাসি।
কাশফুলের গভীর গল্প
দুই শীতের মাঝখানে একটি পুরস্কার
আমার দিকে অভ্যন্তরীণ ব্যাধি নিয়ে তাকিয়ে আছে
আমি কালগিঙ্গা নদীতে ভেসে আসা
মুমূর্ষ শিশুটির মতো অসহায় হয়ে চেয়ে রইলাম।
বহু মানুষ সেদিন
সংক্ষপ্তি আশ্বিনের আয়ু জানিয়ে
আমাকে বলেছিলো – উঠে এসো, ভিড়ে, চিৎকারে
এই যে এই দিকে শব্দের যুদ্ধ ভেলায়।
আমি দুই শীতের মাঝখানে
কাশফুলের গভীর গল্পে
একমাত্র মায়েরই ডাক শুনতে পলোম
ওই দিকে যাসনে বাবা ধর্মীয় দালালদের আড্ডাখানায়।