বহুরূপের তত্ত্ব
পাথরে বেঁধেছে বুক
বুকের ভেতর জেগে ওঠে সফেন স্রোত।
এ’কূল ও’কূল ডুবিয়ে দেয় উত্তাল সুরে
থমথমে বাতাসে ভেসে আসে
জীবনের উপনাম বিষাদ।
শুশুকের চোখ যেন বিদায়বেলার সূর্য
সবকিছু সত্য সবকিছু মিথ্যে-
জোনাকির আলো খোঁজে জীবনের সূত্র,
কেনো আলোতে তার আলো নেই!
তবে আঁধারেই জীবন, আঁধারেই আলোর দিশা।
দুঃখকে মেনে নিয়ে জোনাক বলে
আঁধারের অগোচরেই জীবনের বহুরূপী তত্ত্ব।
অবেলার যাত্রী
কে যায় অবেলায়
যার চোখে এখনও বোনে স্বপ্নের বীজ
অবাক তাঁকিয়ে তার শীতল শরীর;
হারাচ্ছে স্বপ্নের পৃথিবীগুলো
সরলতার প্রতিদানে।
কে যায় অবেলায়
যার নিশ্বাস এখনও বয়ে বেড়ায় বাতাসে
তেত্রিশের তারুণ্যে, সমুজ্জ্বলে।
কে যায় অবেলায়
যার চাতক ভেঙেছিল অপেক্ষার বেড়ি
মেঘের আড়ালে খুঁজেছিল বৃষ্টির খনি
চলে আসে কালবৈশাখীর ঝড়।
কে যায় অবেলায়
তাঁকে কি ধরে রাখা যায়–
আমি আয়নার দুয়ারে দাঁড়িয়ে
নৃশংস পৃথিবীর অবেলার যাত্রী এক,
ফেরার কি কোনো পথ হয়?
এখনও তো দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা নামেনি ।
Facebook Comments