ঘাসফুল
স্বপ্ন ফুটে আছে ঘাসফুলে আর বলছে
জাগো বাস্তবতাকে ছোঁয়ার সময় এসেছে
সকালে প্রাতভ্রমণে বেরোনোর সুঅভ্যেস নেই
তাই স্বপ্নদের দেখে খুশি হওয়া হয় না আর
রাষ্ট্রের অন্ধ পা আমার স্বপ্নদের মাড়িয়ে গেছে
বিকেলে গিয়ে দেখে আসলাম
হয়তো আমার ঘাসুড়ে হওয়া উচিত ছিল
তাহলে সবুজ পোশাকে পাহারা দেওয়া যেত
রাখালের কাছ থেকে বাঁশি বাজানো শিখতে হবে
রাষ্ট্রকে ভ্রমিত আনুগত্য না দিলে সুখ নেই
আমার পোষ্যদের শান্তি নেই
বেঁচে থাকবে না নিজের কোনো আর্দশ
তৃণভোজীদের মাধ্যমেই মাংসাশীরা বেঁচে থাকে
দেরী হয়ে গেল বড্ড একথা বুঝতে
হঠাৎ করে আমিই রাখাল বালক হয়ে উঠি
বাঁশির বাজানোর কথাও ভুলে যাই
পোশাকের রঙের কথা ভুলে গেছি
পোষ্যদের মুখ চেনা হয়ে ওঠে না সবসময়
নিজেকে তৃণভোজী না মাংসাশী কি যে বলি
দুহাত দিয়ে আগালাই ঘাসফুল ও পোষ্যদের
দাঁড়িপাল্লা
কিছু মানুষ দাঁড়িপাল্লায় চাপতে পছন্দ করেন
আপনি না হয় চাপুন না , নাগরদোলায়
বা তিনি শুনিয়ে দেবেন , লোকে বড় বললেই বড়
লোকে ছোটো বললেই ছোট
যদিও প্রবাদ বাক্যদের সম্বন্ধে বলেছিলাম আগে
শুধু দাঁড়িপাল্লার কাঁটায় নজর রাখলে হবে না
কার হাতে সেটি ধরা আছে তা দেখতে হবে বৈকি
বা তার চোখে আইনের কালো কাপড় কি না
শুধু হুড়োমুড়ি করে দাঁড়িপাল্লায় চাপলে হবে না