আড্ডাপত্র

৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১; ২৩ নভেম্বর, ২০২৪;দুপুর ২:১৭

হুমায়ুন কবীর দুলাল এর দশটি গীতিকবিতা

আড্ডাপত্র

অক্টো ২৪, ২০২০ | গীতিকবিতা

আঁকা বাঁকা নদীর ধারে

আঁকা বাঁকা নদীর ধা্রে,
শান বাঁধান পুকুর পাড়ে,
মন আমার হারায় শুধু ঐ যে সোনার গাঁয়;
স্নেহময়ী আমার মায়ের ছোট্ট আঙিনায় ।।

যেখানে) কাস্তে হাতে কৃষাণ মাঠে যায়,
যেখানে) কৃষাণ বঁধু ঘোমটা মুখে চায় ।
যেখানে) প্রাণের পীদিম জ্বলে সাঁঝবেলায় ।।

যেখানে) স্বপ্নভরা আলোর বৃষ্টি ঝরে,
যেখানে) রুপালি রাত সবার ঘরে ঘরে ।
যেখানে) মাঝির গানে প্রাণ জুড়িয়ে যায় ।।

আমি ভালবাসে যাব

আমি -ভালবাসে যাব এ’ দেশ এ’ মাটিকে
এ’ আমার দৃঢ় প্রত্যয়;
এ’ দেশ আমার, আমি এ’ দেশের-
এ’ হোক আমার পরিচয় ।।

কোন প্রলোভনে ভুলবেনা মন,
এ’ মাটি আমার এতই আপন ।
এ’ দেশ আমার চির গরবিনী-
একাত্তরের সঞ্চয় ।।

কোন প্রতিদান চাইবে না মন,
প্রয়োজনে আমি দিব এ’ জীবন ।
এ’ দেশ আমার চির মায়াবীনি-
সারা বিশ্বের বিস্ময় ।।

গানের দেশের মানুষ আমি

গানের দেশের মানুষ আমি
সুরে সুরে কথা যে সাজাই;
ফুলের দেশের মানুষ আমি
প্রাণে প্রাণে সুরভী ছড়াই ।|

হাজার নদীর একতারাটা আমার গানের সুর,
প্রাণের ছোঁয়ায় সে সুর আমার যায় নিয়ে বহুদুর ।
তাইতো আমি দেশের মাটি এ’বুকে জড়াই ।।

আমার মায়ের হাসি ব্যথা আমার গানের প্রাণ,
বুকের ব্যথায় আগলে রাখি তাইতো আমার গান ।
পাখির গানে ভরা এ’দেশ তার তুলনা নাই ।।

মাগো বড় সুখ যে পেলাম

মাগো বড় সুখ যে পেলাম তোমার স্নেহের পরশে;
সার্থক আমার জনম মাগো তোমায় ভালবেসে ।।

কী যে শোভা তোমার রূপে
দেখে মাগো ফিরে ফিরে চাই,
কী যে সুধা তোমার গানে
বারে বারে সুরে সুরে গাই ।
গর্ব আমার মাগো আমি জম্মেছি এই দেশে ।।

কী যে মধু তোমার সুরে
শুনে মাগো পরাণ ভরে যায়,
কী যে যাদু তোমার মাগো
আদর মাখা স্নেহ মমতায় ।
ধন্য হলাম মাগো আমি তোমার কোলে এসে ।।

মাগো- তোমার স্নেহের পরশ

মাগো) তোমার স্নেহের পরশ আমায়
কী যে যাদু জাগায় মনে প্রাণে,
ও’মা) তোমার মুখের স্নিগ্ধ হাসি
কী যে মধু ছড়ায় আমার কানে।।

মাগো) তোমার মাঠের ঢেউ খেলানো হাসি,
দেখে আমার হয় যে মন উদাসী।
ও’মা) তোমার সুরের ইন্দ্রজালে-
প্রাণ সপে দিই তোমার গাওয়া গানে।।

মাগো) তোমার বুকের স্নিগ্ধ তরুছায়া,
আমার প্রাণে জড়ায় কিসের মায়া।
ও’মা) তোমার কোলের মিষ্টি আদর-
মন কেড়ে নেয় এ কোন স্বর্গ পানে।।

পুব দিগন্তে ঐ দেখা যায়

পুব দিগন্তে ঐ দেখা যায় বইছে আলোর বান;
আর নয় শোক কান্না-ও’ ভাই আর নয় অভিমান ।।
(ও’ ভাই)

কামার কুমার শ্রমিক চাষী,
প্রাণ খুলে আয় সবাই হাসি ।
স্বাধীনতার মিষ্টি পরশ-ভরে দেয় মন প্রাণ ।।
(ও’ ভাই)

ন্যায়ের মশাল উচ্চে তুলে
দেশ গড়ি আয় বিভেদ ভুলে ।
স্বাধীনতার শপথ মুখে–গাই বিজয়ের গান ।।

আয়রে তোরা আয় বেড়াতে

আয়রে তোরা আয় বেড়াতে আমার সোনার গাঁয়,
সারি সারি গাছ পালার ঐ শ্যামল বনের ছায় ।
দেখে যা, আয় দেখে যা-
ফসল ভরা মাঠ দেখে যা-
দেখে যা, কৃষাণ কোথায় সোনা যে ফলায় ।।
দেখে যা, কোকিল কোথায় ডাকে কুহু,
দেখে যা, দোয়েল কী গায় মুহু মুহু ।
দেখে যা, আয় দেখে যা-
কোথায় রঙিন প্রজাপতি ডানা যে ছড়ায় ।।

দেখে যা, কেমন আমার মায়ের হাসি,
দেখে যা, রাখাল কেমন বাজায় বাঁশি ।
দেখে যা, আয় দেখে যা-
কোন রুপসীর প্রেমে সবার হৃদয় যে হারায় ।।

পূব আকাশে সোনার থালা

পূব আকাশে সোনার থালা আঁধার টুটেছে;
আলোরা তাই সোনার সাজে হৃদয় লুটেছে।।

গান গেয়ে যায় গানের পাখি,
বিভোর রাতে মুগ্ধ আঁখি।
পাপড়ি পাতা মেলে দিয়ে কুসুম ফুটেছে।।

বাগ বাগিচায় পাখির আসর,
ভ্রমর সাজায় পুস্প বাসর।
প্রভাতে তাই ফুল বাগিছায় অলি জুটেছে।।

ছোট্ট একটা স্বপনে ঘেরা

ছোট্ট একটা স্বপ্নে ঘেরা আমার সোনার দেশ;
আহা) ভালোবাসার লগ্নে ভরা আমার বাংলাদেশ ।।

আমার) বুকের ভেতর দোলা জাগে ,
কী যে মধুর কাঁপন লাগে ।
আহা) প্রাণে প্রাণে যায় যে বয়ে তারি মধুর রেশ ।।

আমি) একটি কথাই যাই যে বলে,
শ্যামল মাটির দেশের কোলে ।
যেন) এ’দেশটাকে ভালবেসে–হয় যে জীবন শেষ ।।

গানে গানে মন তো হারায়

এইতো আমার স্বদেশ রে যার নেই তো তুলনা
এদেশটাকে ভালোবেসে মন তো জুড়ায় না ।।

গাঁয়ের পথে পা বাড়াতে,
দু’চোখ পড়ে সবুজ ক্ষেতে ।
কোথাও খালি মাঠ তবু যে সবুজ ফুরায় না ।।

নদীর ধারে পানসি নায়ে,
মন ছুটে যায় ডাইনে বায়ে।
যতই শুনি মাঝির গানের রেশ তো উড়ায় না ।।

Facebook Comments

আড্ডাপত্রে লাইক দিন

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০