রোদরহস্য
প্রচ্ছদের গভীরগহিনে
মূলত পাখি ও পাঠক হাঁটে।
—এখানে মানুষ মূলত শিল্পী
জীবন মূলত রঙের খেলা
আর সবকিছু নয়া নয়া
রোদরহস্যের মতো
আবছা উপমা ছায়া।
নদী হলো তপ্তদুপুর
এখানে সন্ধ্যানামা মূলত
সভ্যতার বন্ধ্যাসময়
জরায়ুত বসে যাওয়া
ব্যাধি মতো বেদনার কঙ্কাল।
মক্তব
দাদির বুকের উমের কথা মনে পড়ে
যেনো কলমির গন্ধভরা স্নিগ্ধ সেইসব
আনন্দচক্ষুসকাল ফোটে পৃথিবীর বুকে
যেনো হৃদয় তোলপাড়
বাসন্তিশীতপরশে শিশিরশান্ত মেজাজিঢেউ ফুটে
জেগে ওঠে পেছনে ফেলে আসা মক্তবতাড়া ভোর
মা যেনো বলে ওঠে—রেডি হ্ মক্তবে যা
এখনো ট্রেনের আওয়াজের মতো শুনতে পাই
—এসে বাংলাপড়ায় বসবি
আমি ভাত রাঁধছি
আমাদের হৃদয়গুলি সিসি ক্যামেরার আড়ালে
শৈশবজার্নিতে চেয়ে থাকবে আয়ুফুলের সময়জুড়ে
এ এক অমাবস্যা আঁধার পূর্ণিমা আলো
যেনো এক রহস্যগন্ধি জীবন
বাবারা চলে যাচ্ছে
ফ্ল্যাশব্যাকে শানে নুযূল প্রদর্শিত হচ্ছে গোপন গুহায়
আমাদের আবদার সুবাসময় ফুলফলের রূপে ফলাতে
বাবারা চলে যাচ্ছে
মাঠে
অফিসে
কারখানায়
মিছিলে
বাবাদের ঘাম ফুলের মতো
আমাদের সংসার চিরদিন ঘ্রাণ নিয়ে আসে
এক বিশাল ঈগল যেনো বাবাদের কাঁধ
সামুদ্রিক বিশালত্বের মতো বাবাদের হৃদয়সমূহ রেহাল হয়ে মক্তবে ছুটছে
আরেকটু পেরোলেই মক্তব
শাদা শাদা দীলবান শিশুদের মুখ
বাবাদের যূথবদ্ধ বাহু গ্রন্থিল পেশি
আমাদের মুখোমুখি তাকিয়ে আছে
জোছনার রূপালি পসরের মতো হাসছে