শিরোনামহীন
স্থবিরতার মধ্যেই এই রূপান্তর এনে দিলে, হে কাকপাখি
কাজলের রঙ থেকে সামান্য দূরে আমার চোখের যেই সামাজিক রেখা
তারই পাশে দূর আর দূরান্বয়ের বেখাপ্পা আহ্লাদ– কী যে মাখামাখি!
তাই, পুলক বিলালে খুব বসন্ত হাওয়ায়–
অথচ এখন বৈশাখী তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড জানালা-দুয়ার…
সমস্ত চরাচরে বিলাপের করুণ গুঞ্জন। ও কাজল সুন্দর!
রূপান্তরের নামে এ কোন অভিধা তুমি লিখে দিলে চিঠির ভাষায়?
মরুঝড়ে ধ্বস্ত যে জীবন তাকে আজ গোলাপের গন্ধ দিয়ে
সাজাও নাগর। হায় উপহাস! দেখো, উপাচারে ভরে উঠছে গৃহ
বিবমিষাকালে কতো কী জানবে এই সাধের জনম…
নীল
ও নীল, তুমি এতোটা উড়ো না আজ
মেঘের ফাঁকে লুকিয়ে আছে রঙধনুটার ভাঁজ
শখের কাব্য রোদন করে তোমার পাখার ’পরে
গোত্তা খাওয়া ঘুড়ির মতো মন ধরফর করে
ও নীল, তুমি আর ভেসো না– দাঁড়াও
মুখিয়ে থাকা মনের দিকে আঁচলখানি বাড়াও।
জ্ঞান
ওরে আমার জ্ঞান, তুই এমনই শয়তান
নিদ্রা কালে এসে বলিস, এখন হবে স্নান।